ব্যুরো রিপোর্ট: পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফের জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতার। যা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ এখন জঙ্গি-গ্যাংস্টারদের সেফ শেল্টার।
উৎসবের সময়ে করোনা নিয়ে সতর্কতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে, রাজ্যবাসীকে দীপাবলির অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।সুভাষগ্রাম থেকে জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিজেপি বারেবারেই বলেছেন,
পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গি, গ্যাংস্টারদের সেফ শেল্টার হয়ে গিয়েছে। পঞ্জাব থেকে এসে নিউটাউনে থাকছে গ্যাংস্টাররা। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আলকায়দা, জেএমবি জঙ্গিরা এসে এই রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছে। রাজ্য সরকার এদের প্রতি নরম।
বিএসএফ-এর কাজের পরিধি ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করাকে সমর্থন করেছেন এব্যাপারে। এনিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের আসা বন্ধ হোক, তা চায় না এই রাজ্য সরকার। তিনি দাবি করেছেন, সারা দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত হলেও, রাজ্যে তা নয়। এর পিছনে রাজ্যের স্বার্থ আছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ এদিন কেন্দ্রের পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দাম বাড়ছিল অনেকদিন ধরে, সবাই বলছিলেন কমানো হোক।
কেন্দ্রীয় সরকার কমিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কিংবা অন্য যারা সমালোচনা করছিলেন, তাদেরও এই রাস্তায় হাঁটা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাহলেও মানুষের কষ্ট কম হবে। তিনি বলেছেন, খালি কেন্দ্র কমালে হবে না।
রাজ্যের যে সেস রয়েছে, তাও কমাতে হবে, তাহলেও মানুষের সুবিধা হবে।রাজ্যের স্বাস্থ কমিশন জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবারও সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের সুবিধা পাবেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, হাসপাতাল যদি না দেয়, তাহলে সুবিধা কীভাবে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, সরকারকে হুমকি দিতে হচ্ছে, লাইসেন্স বাতিল করে দিতে হবে, কেন এই পরিস্থিতি প্রশ্ন করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেছএন, সরকারি হাসপাতালে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না, আর বেসরকারি হাসপাতাল বলছে, তাদের যা রেট দেওয়া হচ্ছে, তাতে তাদের পোষাচ্ছে না।
রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলিকে টাকা মেটাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তার কটাক্ষ সরকারের হাতে যদি টাকাই না থাকে, তাহলে কার্ড দিয়েছেন কেন?রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,
দুর্গাপুজোর পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে। তাই সবার সাবধান হওয়া উচিত। মানুষ রয়েছে উৎসবের মুডে, রাস্তাও বেরোচ্ছে। কিন্তু সতর্ক থাকছে না, মাস্ক থাকছে না।
সরকারকেই সতর্কতা বজায় রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে বলেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভয়ঙ্কর পরিণতি মানুষ দেখছে এবং দেখছে। সবাইকে সাবধানতার সঙ্গে সতর্কতা বজায় রেখে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।