ব্যুরো রিপোর্ট: রবিবারের থেকে কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা বাড়ল। তবে সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার। উত্তরবঙ্গের জন্য বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গের জন্য তা নেই। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসের কারণে আর্দ্রতা বেড়েছে।
যে কারণে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ এপ্রিল বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।
এছাড়া আগামী ৪-৫ দিনে উত্তরবঙ্গ জুড়েই দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
তবে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ এপ্রিল বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের মতোই দক্ষিণবঙ্গেও আগামী ৪-৫ দিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ৭ এপ্রিল নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলে তার কিছুটা প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে পড়তে পারে
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
বাঁকুড়া (২৬.৪)
ব্যারাকপুর বহরমপুর (২৪)
বর্ধমান (২৫)
ক্যানিং (২৭.২)
কোচবিহার (২১.৩)
দার্জিলিং (১৩)
দিঘা (২৭.১)
কলকাতা (২৬.৮)
মালদহ (২৩.৫)
পানাগড় (২৭)
পুরুলিয়া (২৬.১)