ব্যুরো রিপোর্ট: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে সবকিছুরই দাম ক্রমশ অগ্নিমুল্য হয়ে উঠেছে। একদিকে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে রান্নার গ্যাসের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির জেরে নাজেহাল সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। তবে সম্প্রতি একটি জাতীয় মিশন চালু করার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
ভোজ্য তেলের আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পাশাপাশি এর উৎপাদন বাড়াতে সরকার ১১,০৪০ কোটি টাকার একটি জাতীয় মিশন চালু করবে বলে জানা গিয়েছে।
ভোজ্য তেলের ওপর আমদানির নির্ভরতা কমাতে ন্যাশনাল এডিবল অয়েল মিশন-অয়েল পাম অর্থাৎ এনএমইও-অপি ১১,০৪০ কোটি টাকার জাতীয় মিশন অনুমোদন করেছে। জানা গিয়েছে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ সমন্বয়ে হবে এই প্রকল্প। ৮০-২০ অনুপাতে ব্যয় হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের।
বর্তমানে প্রায় ৯৩ লক্ষ মেট্রিক টন পাম তেল ভারতে ব্যবহৃত হয়। যার ৯৯ শতাংশই মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ভোজ্য তেলের জন্য বৈদেশিক নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি দেশে তেল উৎপাদনের ব্যবস্থাও তৈরি হবে।
এমনকী, আমদানিকৃত খরচও থাকবেনা আর। সুতরাং এর ফলে কমবে তেলের দাম। এই স্কিমের আওতায় ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে দেশে পাম তেলের উৎপাদন তিনগুন বেড়ে ১১ লক্ষ মেট্রিক টন হবে।
গত ৯ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী দেশে ভোজ্য তেলের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাম তেল উৎপাদনের জন্য এই
জাতীয় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। পাম তেলের কাঁচামালের দাম বেঁধে দেবে সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষি মন্ত্রকের এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।