ব্যুরো রিপোর্ট: ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলা। উত্তরবঙ্গের একের পর এক প্রবল ঝটকা। আতঙ্কে রীতিমত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকেই বাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকাতে এই কম্পন অনুভুত হয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, এক নয়, একাধিকবার কম্পন অনুভুত হয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে। ফলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছ।
এমনিতেই করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বাংলা। ঘর বন্দি মানুষ। আর এর মধ্যেই হঠাত কম্পন। রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, এক মাসের মধ্যে দুই দুবার এই ঘটনায় উত্তেজনা বাংলা জুড়ে।
জানা গিয়েছে কম্পনের উৎসস্থল মিজোরাম। আর যার জেরেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক কম্পন অনুভুত হয়েছে। এমনটাই মত আবহাওয়াবিদদের। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সহ উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কম্পন অনুভুত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে রিখটার স্কেলে ভূকম্পের তীব্রতা ৫.৪। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, প্রথম কম্পনটি অনুভুত হয় ঠিক ৩টে ৪২ নাগাদ। এরপর তিনটে ৪৪ নাগাদ আরও একটি কম্পন অনুভুত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
একের পর এক কম্পনে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই আতঙ্কে নিরাপদে ছুটে যান। এমনকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
যদিও এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি হতাহতেরও কোনও খবর নেই। এমনটাই স্থানীয় সুত্রে জানা যাচ্ছে।গত ছয় জানুয়ারি একই ভাবে কেঁপে উঠেছিল গোটা উত্তরবঙ্গ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩।
জানা যায়, সেদিন কম্পনের উতস্যস্থল ছিল ভুটানের থিম্পু। উৎসস্থলের গভীরতা ভুপৃষ্ট থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার গভীরে। ফলে ভালভাবেই কম্পন অনুভুত হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে কম্পন অনুভূত।
যদিও এবার কম্পনের উৎসস্থল মিজোরাম। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে একের পর এক কম্পন। ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে।
শুধু তাই নয়, একই ভাবে গিত বছরও কেঁপে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশ। আর এতেই বড়সড় বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদরা। বিষয়টি গুরুত্ব দেখার দাবি গবেষকদের। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বলেও দাবি গবেষকদের।