তানিষ্ক প্রকাশ করল নতুন পুজো সম্ভার – ঐশানী

তানিষ্ক প্রকাশ করল নতুন পুজো সম্ভার – ঐশানী

রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস : সকলে মিলে ‘দুগ্গা দুগ্গা’ বলা, ঢাকের বাদ্যি, ঘরে ঘরে পুজোর শাঁখ বাজানো থেকে শুরু করে পাড়ার জলসার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি – বাংলার কোনায় কোনায় এখন পুজোর মেজাজ। বাংলার সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব উদযাপন করতে ভারতের সবচেয়ে বড় খুচরো গয়নার ব্র্যান্ড, টাটার অধীন তানিষ্ক নিয়ে এল পুজো সম্ভার – ঐশানী। তানিষ্কের এই সাম্প্রতিকতম সম্ভার বাংলার প্রত্যেক নারীর মধ্যে চিরকালীন শক্তির প্রকাশের প্রতি এক বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

এবারের দুর্গাপুজোয় তানিষ্ক বাংলার শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত মহিলারা, যাঁরা মা দুর্গার ঐশ্বরিক শক্তির প্রকাশ, তাঁদের জীবনের কাহিনি উদযাপন করছে। মায়ের উপর তাঁদের অচলা ভক্তি এবং মায়ের ‘শক্তি’-কে নিজের মধ্যে ধারণ করা অক্ষয় শক্তির উৎস এবং মোটের উপর সেটিই তাঁদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার গড়ে তুলেছে।

ঐশানী-র অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে শিউলি আর কাশফুলের সুগন্ধ যা পুজো শুরুর লক্ষণ, টেরাকোটা মন্দিরের রাজকীয়তা আর পুজোমণ্ডপের বিশালত্ব। এসবের প্রেরণাতেই ঐশী সম্ভারের গয়নাগুলোতে করা হয়েছে বিস্তারিত কারুকাজ।

তার সঙ্গে সূক্ষ্ম শোলার কাজ। বিখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আজ আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল, কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলন তথা ক্রেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এই সম্ভার লঞ্চ করলেন।

তানিষ্কের ঐশানী হল তানিষ্কের নিপুণ কারিগরদের তৈরি সোনার গয়নার সম্ভার। এই সম্ভারে আছে পুজোমণ্ডপের কারুকাজের উপর ফুলের মোটিফ, ছোটবড় করার মত হার যাতে আছে আইভরি ও স্যাফ্রন এনামেলের ফোটা শিউলি,

বাঁকানো তারের কানের দুল আর ফিলিগ্রিওলা বালা। প্রত্যেকটি গয়নাই আধুনিক নৈপুণ্য আর সাবেকি কারিগরির মিশ্রণ। ঐতিহ্য, কারিগরি আর ডিজাইন – এই চমকপ্রদ সম্ভার তৈরি হয়েছে এই তিনের মিলন এবং আরও অনেককিছু দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত তানিষ্ক স্টোরে ঐশানী পাওয়া যাচ্ছে।

পুজো উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে তানিষ্ক এক আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে, যা ক্রেতাদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলবে। ক্রেতারা এখন সোনা আর হীরের দামে মজুরিতে ২৫% পর্যন্ত ছাড় পাবেন। এই অফার সীমিত সময়ের জন্য।

এই লঞ্চ এবং এই সময়টার গুরুত্ব সম্পর্কে অলোক রঞ্জন, রিজিওনাল বিজনেস ম্যানেজার – ইস্ট, তানিষ্ক, টাইটান কোম্পানি লিমিটেড, বললেন, “আমাদের এ বছরের পুজো সম্ভারের মধ্যে দিয়ে আমরা বাংলার প্রত্যেক মহিলার মধ্যে বসবাসকারী নির্ভয় দেবীকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি।

বাংলার মহিলারা হলেন দেবী দুর্গার প্রতিমূর্তি, তাঁর থেকেই শক্তি অর্জন করেন। সেই শক্তি যা তাঁদের নতুন দিগন্ত আবিষ্কার করতে এবং নিজের ও নিজের আশেপাশের পাঁচজনের জন্য সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে। তানিষ্ক তাঁদের গল্পগুলোই উদযাপন করছে এবং তাঁদের বিপুল অভিব্যক্তিপূর্ণ ও সাংস্কৃতিকভাবে বিস্তৃত দিকটায় আলো ফেলছে। যেমন ধরুন মিমি চক্রবর্তী।

তিনি নিজের চেষ্টায় নিজের পেশার শীর্ষে ওঠা নারীর জলজ্যান্ত উদাহরণ। তারপর তিনি আরও এগিয়ে যাওয়ার শক্তি অর্জন করেছেন। আমাদের পুজো সম্ভার যতটা এঁদের নিয়ে, ততটাই উৎসবের উদযাপন। এই সম্ভার ফিলিগ্রির সূক্ষ্ম শিল্প, শিউলির আদিম সৌন্দর্য এবং শাঁখের স্বর্গীয় ধ্বনির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য। ঐশানী হল সেই মহিলাদের শক্তি বলয়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি যাঁরা আগামী দিনকে আরও সুন্দর করে তুলছেন।”

এই অনুষ্ঠানে মিমি চক্রবর্তী বলেন “পুজোর জন্যে তানিষ্কের উৎসব সম্ভার হল উৎসবের মেজাজ আর এই উৎসব বাঙালির জন্যে যা যা, সেই সবকিছুর উদযাপন। প্রত্যেক মহিলাই একটা নতুন ন্যারেটিভের জন্ম দিতে পারেন, এই ধারণাটাই আমাদের সকলের ভেতরের স্বর্গীয় শক্তিতে বিশ্বাস জোরদার করছে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এটা ছুঁয়ে গেছে।

কলকাতার মাত্র দুজন মহিলা প্রতিমা নির্মাতার একজন চায়না পাল। তিনি একটা নতুন ছাঁচ তৈরি করেছেন। তাঁর সম্পর্কে কথা বলা বা শুধু মহিলাদের নিয়ে তৈরি ঢাকিদের যে ব্যান্ড তাকে নিয়ে কথা বলে তানিষ্ক সঠিকভাবেই আরও বেশি সাম্যযুক্ত এক সমাজ তৈরি করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তানিষ্কের নিজের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া মহিলাদের সম্মানিত করার উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং আগামী দিনে অনেক আধুনিক বাঙালি মহিলাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রকৃতি থেকে নেওয়া অনুপ্রেরণা, যেমন ‘শিউলি ফুল’, ‘কাশফুল’, ‘শোলার কাজ’ আর ‘প্যান্ডেল’ গয়নার ডিজাইনগুলোকে বাঙালিদের জন্য নস্ট্যালজিক অথচ প্রাসঙ্গিক করেছে। আর নিশ্চয়ই এ বছরের পুজোর আনন্দে বিশেষভাবে বাড়িয়ে তুলবে।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *