ব্যুরো রিপোর্ট: প্রায় ৫৫ কোটির সোনা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য! নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বিপুল নগদের উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়। বিপুল পরিমাণ এই সম্পত্তি দেখে একেবারে চমকে ওঠে শহরবাসী।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রকাশ্য রাস্তায় একেবারে তাল তাল সোনা উদ্ধারকে করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধারে ভোররাতে একটি গাড়ি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। অল্টো গাড়িকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের। আর এরপরেই গাড়িটিতে তল্লাশি করলে কার্যত চমকে ওঠেন তদন্তকারীরা।
দেখেন গাড়িতে তাল তাল সোনা। জানা যায়, মারুতির ওই গাড়িটি থেকে ১১ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে। এত পরিমাণ সোনা কোথায় কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিপুল এই পরিমাণ সোনার আনুমানিক মূল্য ৫৫ কোটি টাকার কাছাকাছিকার্যত বড়সড় সাফল্য বেলঘরিয়া পুলিশের।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালককেও। ডিসি অজয়প্রসাদ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ধৃতদের জেরা শুর হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সে বিষয়ে জেরা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পিছনে আর কারা জড়িত সেটাও ধৃতদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা হচ্ছে বলেই খবর।
ঘটনার পর বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হতে পারে। এই বিষয়ে আগেই খবর ছিল তদন্তকারীদের কাছে। সেই মতো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। পুলিশও নজরদারিতে ছিল। একেবারে কড়া নজরদারিতেই বিপুল পরিমাণ এই সোনা উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, গাড়িটি বিটি রোড হয়ে মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটির নম্বর পশ্চিমবঙ্গের। কিন্তু ভিন রাজ্যে সোনা পাচার হচ্ছিল কিনা সেটাই জানার চেষ্টা পুলিশ করছে বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ আধিকারিক অজয় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকদের। ইতিমধ্যে গাড়ির চালক-সহ যে চার জন ছিল তাদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অজয়।
এমনকি ঘটনায় অভিযুক্তকে জেরা শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কীভাবে কোথায় কার নির্দেশে এই সোনা পাচার হচ্ছিল সে বিষয়ে জানার চেষ্টা হচ্ছে।