জাপানে তৈরি বুলেট ট্রেনকে হারিয়ে দিল বন্দে ভারত! টুইটে আনন্দ প্রকাশ রেলমন্ত্রীর

জাপানে তৈরি বুলেট ট্রেনকে হারিয়ে দিল বন্দে ভারত! টুইটে আনন্দ প্রকাশ রেলমন্ত্রীর

ব্যুরো রিপোর্ট:  গতির নিরিখে জাপানে তৈরি বুলেট ট্রেনকে হারিয়ে দিল বন্দে ভারত। সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যেখানে জাপানে তৈরি বুলেট ট্রেন ঘন্টায় ১০০ কিমি স্পিড তুলতে সময় নেয় ৫৫ সেকেন্ড, সেখানে বন্দে ভারত সেই গতিবেগ তুলতে সময় নিয়েছে ৫২ সেকেন্ড।

দেশের রেল, যোগাযোগ, ইলেকট্রনিস্ক ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেশের দুনম্বর বন্দে ভারত চলছে ঘন্টায় ১৮০ কিমি বেগে। এক মিনিটের একটি ভিডিওতে দুটি জিনিস রাখা হয়েছে। কাঁচের গ্লাসে ভর্তি জল ও সেলুলার ডিভাইস, যা ট্রেনের গতির জানান দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘন্টায় ১৮০ কিমি বেগে গেলেও গ্লাস থেকে জল ছিটকে পড়ছে না। টুইটারের ক্যাপশন হল আমাদের বন্দে ভারত।রেলমন্ত্রীর প্রকাশিত ভিডিওয় একটি ফোনের স্ক্রিনে রয়েছে স্পিডোমিটার অ্যাপ্লিকেশন। জানালার পাশে একটি টেবিলে রাখা ফোন আর কাঁচের গ্লাসে ভর্তি জল।

ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে স্পিডোমিটারের রিডিং ১৮০ থেকে ১৮৩ কিমি প্রতিঘন্টায় ঘোরাফেরা করেছে। মন্ত্রী হাসতে হাসতে বলছেন, সারা পৃথিবী হেলে গেলেও গ্লাস কিন্তু ঠিকই আছে।শুধু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীই নন, গর্বিত মুহূর্ত বলে টুইটারে আনন্দ প্রকাশ করেছেন পেটিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা।

তিনি লিখেছেন, এটি গর্বের মুহূর্ত কেননা সম্পূর্ণ রূপে দেশে তৈরি বন্দে ভারত শূন্য থেকে ১০০ কিমি গতি তুলতে বুলেট ট্রেনকে হারিয়ে দিতে পারে।বন্দে ভারতের স্পিড ট্রায়াল হয়েছে কোটা-নাগদা রেলওয়ে ডিভিশনে। অনেক জায়গাতেই গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ কিমি ছুঁয়ে গিয়েছে।

বন্দে ভারত সেমি হাইস্পিড ইএমইউ ট্রেন যা ২০২২-এর মার্চ থেকে দুটি রুটে চলছে। একটি রুট হল নয়াদিল্লি থেকে বৈষ্ণো দেবী এবং অন্যটি হল নয়াদিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত।ভারতে তৈরি এই ট্রেনের আলাদা করে কোনও ইঞ্জিন নেই। পুরো ট্রেনেই স্বয়ংক্রিয় দরজা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ারকার। চেয়ারগুলি ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ধুরতে পারে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *