ব্যুরো রিপোর্ট: আবারও এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে । এবার এক চতুর্থ শ্রেণীর শিশুকন্যাকে শ্লীতাহানি এবং ধর্ষণের করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।
নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছার বাসিন্দা জয়দেব রায়ের ১০ বছরের শিশুকন্যর সাথে শ্রীলতাহানি এবং যৌন সংযোগ করার চেষ্টা করেন শিবা সরকার নামে এক অভিযুক্ত । নির্যাতিতার দাবি ঐদিন সকালে তার বাড়ি সংলগ্ন একটি মাঠে খেলা করছিল ।
সেই সময় প্রতিবেশী শিবা সরকার ( ওরফে নির্যাতিতার পিসেমশাই ) জোর করে নাবালিকার সঙ্গে অসভ্যতা করে এবং তার শ্লীলতাহানি করে। শুধু তাই নয়, তাকে পাশের ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা পর্যন্ত করে।
এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করে সেখান থেকে কোন রকমে পালিয়ে আসে। বাড়িতে এসেই সমস্ত ঘটনা বিস্তারে তার বাবা-মায়ের কাছে জানায়। ঘটনা শোনা মাত্রই মুহূর্ত দেরি না করে নির্যাতিতার মা-বাবা কৃষ্ণগঞ্জ থানায় গিয়ে শিবা সরকারের নামে লিখিত অভিযোগ করে এবং প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি রাখে।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা নদীয়া জেলার মানুষ। তারা প্রশ্ন তুলেছেন শিশু কন্যাদের নিরাপত্তা নিয়ে। নির্যাতিতার পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় পুলিশ এই বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই ঘটনায় কেউ এখন অব্দি গ্রেফতার হয়নি।
পরবর্তী সময় শিশু কল্যাণ দপ্তর এর খবর দেওয়া হলে শিশু কল্যাণ দপ্তর এর সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন এবং সবার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
এই বিষয়ে থানার সাথে যোগাযোগ করলে আইসি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এবং তিনি জানান কেসটির তদন্ত অফিসার অসুস্থ এবং কল্যাণী যে এন এম হসপিটালে ভর্তি আছে বলে দাবি করেন।
এখানে প্রশ্ন থেকে যায় পুলিশের তদন্ত ব্যবস্থা নিয়ে।এই ঘটনার পাঁচদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেইভাবে কোনরকম উদ্যোগ দেখা যায়নি তাই এই দিনে কৃষ্ণনগর এসপি অফিসের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য আসেন নির্যাতিতার পরিবার ।
পরিবারের তরফ থেকে জানা গেছে এসপি অফিসে অভিযোগ জানার পর এসপি ঈশানি পাল বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছেন এবং পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন যত দ্রুত তাদের ন্যায্য বিচার পায় দেবের ।
যদিও পরিবারের অভিযোগ, গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতে যেভাবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছেন এতে কতটা সুরক্ষিত এই প্রশ্ন তুলেছেন পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ
তাদেরকে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন কোন রকম কেস নাম্বার দেওয়া হয়নি লিখিতভাবে আর এইখানে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার তাদের বক্তব্য রাখছে যে ভাবে নির্যাতন বাড়ছে তাদের কোন কেস নেওয়া হচ্ছে তাদের টাকা পয়সা নিয়ে সেটিং করার কথা বলছে । এবং পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় অবিলম্বে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেন