ব্যুরো রিপোর্ট: হাউস স্পিকার তাইওয়ান সফরের প্রায় কয়েক ঘন্টা কেটে গিয়েছে! কিন্তু এখনও উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রত্যেকদিন বাড়ছে টেনশন। হাউস প্সিকারের তাইপে সফরের মধ্যেই বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল চিন।
শুধু তাই নয়, একাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে গত কয়েক ঘন্টার। যার মধ্যে বেশির ভাগ তাইপের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে জাপানের মূল ভুখন্ডে পড়েছে। যা নিয়ে নতুন করে একটা উত্তেজনার পারদ তৈরি হয়েছে।আর এই উত্তেজনার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি তাইওয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
মন্ত্রকের দাবি, চিনের তাদের একেবারে মূল দ্বীপের উপর হামলা চালাচ্ছে। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করে চিনের একাধিক যুদ্ধ বিমান ও জাহাজ দেখা গিয়েছে। সে দেশেরর মন্ত্রক গোটা পরিস্থিতিরত উপর নজর রাখছে।
আর তা দেখে মনে করা হচ্ছে, তাইওয়ানের মূল দ্বীপে হামলা করতেই চিনে এহেন মহড়া চালাচ্ছে।আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর উত্তেজনা। আর এই উত্তেজনাই তৃতীয় বিশ্বজুড়ে ডেকে আনবে না তো? আর সেটাই ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। বলে রাখা প্রয়োজন,
তাইওয়ানের চারপাশে একেবারে যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে বেজিং। লাইভ ফায়ার ড্রিল করছে তাঁরা। আর এই বিশাল মহড়ায় অন্তত একাধিক যুদ্ধ জাহাজ অংশ নিয়েছে। এমনকি গত ২৪ ঘন্টায় চিন অন্তত ১০০টি যুদ্ধ বিমান আকাশে উড়িয়েছে।
এমনকি একের পর এক মিসাইলেরই পরীক্ষা করে যাচ্ছে তাঁরা।চিন তাইপেকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে মনে করে। ফলে তাইওয়ানের উপরে আমেরিকার হস্তক্ষেপ মোটেই ভালো ভাবে নেয়নি বেজিং। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, আগুন নিয়ে খেলছে আমেরিকা।
আর এর প্রভাব পাওয়ার জন্যে তৈরি থাকার হুঁশিয়ারি বেজিংয়ের তরফে দেওয়া হয়েছে। যদিও হাউস স্পিকার স্পষত জানিয়ে দিয়েছে, চিন কখনও রুখতে পারে না। এমনকি কে কোথায় যাবে সেটিও আটকাতে পারে না বলেই দাবি তাঁর।
তবে চিনের হুমকি উপেক্ষা করে গত কয়েকদিন আগেই হাউস স্পিকার জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকা তাইপের গণতন্ত্রকে সমর্থন করে। যা নিয়ে আরও চটেছে কমিউনিস্ট এই দেশ।
যদিও আমেরিকার তরফে এই বিষয়ে পালটা কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর গোটা বিশ্বের।