ব্যুরো রিপোর্ট: টেক্সাস : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের অত্যাচারে নিহত হিয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড নামে এক ব্যক্তি। কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন, এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল আমেরিকা। সাজা হয়ে সেই পুলিশেরও , কিন্তু ঘটনার রেশ যেন এখনও কাটছে না।
এবার নিজের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি এসে বিঁধল ফ্লয়েডের চার বছরের ছোট্ট নাতনিকে।জানা গিয়েছে , ফ্লয়েডের নাতনি আরিয়ান্না ডেলানে নিজের বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। সাউথ হাউস্টনের ওই এপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটে ঘুমের মধ্যে ছিলেন আরিয়ান্না সহ দুই শিশু এবং আরও চার জন প্রাপ্ত বয়স্ক।
তখন রাত তিনটে আচমকা বিছানায় উঠে বসে কাঁদতে শুরু করে আরিয়ান্না। নাগাড়ে বলতে থাকে তাকে কেউ মেরেছে। মেয়ের গায়ে হাত দিতেই চমকে যায় বাবা ডেরিক ডেলানে। তার হাত ভরতি তখন রক্ত। কোনওদিক না দেখে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে আরিয়ান্নার। করতে হয়েছে বড় অস্ত্রোপচার।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বুলেটে চার বছরের শিশুর যকৃৎ ও ফুসফুসের ক্ষতি করেছে। ভেঙে দিয়েছে পাঁজরের তিনটি হাড়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এমন হামলার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা খোঁজার চেষ্টা করছেন। হামলার কারণই বা কি হতে পারে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে আরিয়ান্নার বাবা ডেরিকের অভিযোগ এটা পরিকল্পিত হামলা। তিনি পুলিশের দিকেও আঙুল তুলেছেন।
তাঁর অভিযোগ ঘটনা জানার পরেও অনেক দেরি করে পুলিশ আসে।এই প্রসঙ্গে হাউস্টন পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, এটা নিয়েও তারা অন্তর্বর্তী তদন্ত করছেন, কারণ এমনটা হওয়া একেবারেই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল মিনিয়াপোলিস পুলিশ। গ্রেফতারের সময় আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তিকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় মাটিতে শুইয়ে তার ঘাড়ে দীর্ঘক্ষণ হাঁটু দিয়ে চেপে বসে থাকে শভিন নামে এক পুলিশ।
শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলার পরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঘাড় থেকে নামেননি। একসময় দম আটকে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। শুরু হয় বর্ণবিদ্বেষবিরোধী প্রতিবাদ ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’। এই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল ইউরোপেও।