ব্যুরো রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় অশনির অশনি সংকেতের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত। তবে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২১ মার্চ সোমবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়াও আগামী দিন পাঁচেক হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২১ মার্চ সোমবার সকালের মধ্যে সব কটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মতো গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও আগামী দিন পাঁচেকে দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও বড় পরিবর্তন হবে না।
দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় রাতের কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিন সকালে দেওয়া কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৬ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শুক্রবার ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৩.৩) বালুরঘাট (১৮.৪) বাঁকুড়া (২৩.৭) ব্যারাকপুর (২২) বহরমপুর (২০.২) বর্ধমান (২২) ক্যানিং (২২.৪) কোচবিহার (১৯.৬) দার্জিলিং (১৩.৬) দিঘা (২৪.৩) কলকাতা (২৩.৯) মালদহ (২৩.৯) পানাগড় (২৩.৭) পুরুলিয়া (২০.১) শিলিগুড়ি (১৯.৭) শ্রীনিকেতন (২২.৮)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং পূর্ব নিরক্ষীয় বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অবস্থান করছে। যা ধীরে ধীরে অগ্রসহ হচ্ছে পূর্ব-উত্তর-পূর্ব দিকে। এদিন সকালে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে পৌঁছনোর কথা।
এরপর তা আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছুঁয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। ২১ মার্চ তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন আবহ বিজ্ঞানীরা। ২২ মার্চ সকাল নাগাদ তার বাংলাদেশ এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে এই বাংলায় প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, রাজস্থানের কিছু অংশ, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, গুজরাত, তেলেঙ্গানার কোনও কোনও অংশে এদিন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। অতিপ্রবল তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিম রাজস্থানের কোনও কোনও জায়গায়।