ব্যুরো রিপোর্ট: দীর্ঘ প্রায় দেড় বছ পর অবশেষে খুলল স্কুল। করোনা আতঙ্ককে জয় করেই স্কুলমুখী পড়ুয়ারা। আগেই সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় যে ১৬ তারিখ থেকে রাজ্যে স্কুল খুলবে। সেই মতো সকাল থেকে চরম ব্যস্ততা রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিতে।
মঙ্গলবার সকালেই স্কুলে পৌঁছে যান শিক্ষক সহ অন্যান্য কর্মচারীরা।সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই ধাপে ধাপে স্কুলে ঢুকতে শুরু করে পড়ুয়ারা। স্কুলের গেটে কোথাও লজেন্স দেওয়া হল তো কোথায় আবার গোলাপ দিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা।
কোথাও আবার পেনও দেওয়া হল।কলকাতা থেকে বাংলার সমস্ত স্কুলেই এদিন এই ছবিই ধরা পড়ল। তবে সমস্ত স্কুলেই পড়ুয়াদের শরীরের তাপমাত্রা মেনে ঢোকানো হচ্ছে। করা হচ্ছে স্যানিটাইজও।তবে এদিন আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হল।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, নবম ও একাদশের ক্লাস শুরু হয় সকাল ১০টায়। দশম ও দ্বাদশের ক্লাস সকাল ১১টায় শুরু হয়। ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে স্কুলে হাজির হতে হবে পড়ুয়াদের। এমনটাই নির্দেশিকা দেওয়া হয়।
সেই মতো সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই স্কুলমুখী পড়ুয়ারা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পাশাপাশি আজ বেসরকারি স্কুলগুলিও খুলেছে।বলে রাখা প্রয়োজন স্কুল গুলি খোলার ২৪ ঘন্টা আগে থেকেই কার্যত যুদ্ধ চলছিল একপ্রকার। নির্দেশ মতো সানিটাইজ করা হয়।
এছাড়াও সোশ্যাল ডিসটেন্স মানতে স্কুলগুলিতে দাগ কেটে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, স্কুল খুললেও মানতে হবে করোনা বিধি। সেই সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা আগেই স্কুলগুলিকে পাঠানো হয়।
কি করা যাবে আর কি করা যাবে না সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে বিকাশ ভবনের তরফে পাঠানো হয় স্কুলগুলিতে।কিন্তু দীর্ঘদিন পর স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়াতে অনেক জায়গাতে সঠিক ভাবে মান্মা হছে না করোনা বিধি।
কোথাও স্কুলের মধ্যেই আড্ডা মারতে দেখা হল স্কুল পড়ুয়াদের। আবার কোনও স্কুলে ক্লাসে সোশ্যাল ডিসটেন্স কিছু মানাই হচ্ছে না। এক বেঞ্চেই গাদাগাদি করেই চলছে ক্লাস। যদিও পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বিকাশ ভবন।
তবে স্কুলগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কি কি করতে হবে। আর সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে সোশ্যাল ডিসটেন্স। ক্লাসের মধ্যে সর্বোচ্চ একটা বেঞ্চে দুজনের বভেশি বসতে পারবে না কেউ। এমনকি পিছনের বেঞ্চে খালিয়া রাখতে হবে। এরপর ফের বসতে হবে খালির পিছনের বেঞ্চে।
স্কুলের সামনে কোনও জমায়েত নয়।এমনকি স্কুলের মধ্যে কোনও অভিভাবকরা ঢুকতে পারবে না। আপাতত স্কুলে প্রেয়ার বন্ধ থাকছে। কারোর টিফিন কাহয়া যাবে না।
প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে।এছাড়াও স্কুলে আইসোলেশন রুম তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে। কেউ যাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে দ্রুত তাঁকে যাতে আইসোলেট করা যায় সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত।