ব্যুরো রিপোর্ট: শীতের ঝড়ে বিপর্যস্ত আমেরিকা। বড়দিনের আগের দিন রাত থেকে শুরু হয়েছে ঝড়। ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ছিল যে হাড় কাঁপুনি ঠান্ডা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মারা গিয়েছেন ১৮ জন। বাতিল করতে হয়েছে ২৭০০িটরও বেশি উড়ান। অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে একাধিক এলাকা।
আগে থেকেই অবশ্য মার্কিন প্রশাসন এই নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল।হাড় কাঁপুনি ঠান্ডা তার উপরে তুষার ঝড়। দুয়ের জেরে বড়দিনের উৎসব মাটি মার্কি মুলুকে। আগে থেকেই অবশ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। নিউইয়র্ক, নিউ ক্যারোলিনা, নিউ জার্সি সহ একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছিল সতর্কতা।
তার আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকেও। গত পরশুথেকেই আবহাওয়া খারপ হতে শুরু করে। তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল।নিউ ইয়র্কের বাফেলো এলাকায় ২ ফুটের উপরে বরফ জমে গিয়েছে রাস্তায়।
কোন যান চলাচল করতে পারছে না। কার্যস্ত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা শহর। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে গতকাল রাত থেকেই অন্ধকারে ডুবেছে বিস্তির্ণ এলাকা। প্রাথমিক ভাবে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
প্রায় ৩১৫,০০০টি বাড়ি এবং অফিস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তীব্র গতিতে বইছে ঠাণ্ডা হাওয়া। ৬৫ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় হাওয়া বইছেস্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই সতর্কতা জারি করে বাড়িতে খাবার এবং পানীয় জল মজুত রাখতে বলা হয়েছিল।
কাউকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। ওষুধ পত্র সব বাড়িতে বজুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রবল তুষার ঝড়ের কারণে বড়দিনের রাতের প্রার্থনা করতে যেতে পারেননি অনেকেই। বাড়িতে বসেই প্রার্থনা সেরেছেন তাঁরা। বড়দিনের একাধিক উৎসব বািতল করা হয়েছে। অনেকেই ছুটিতে বাড়ি ফিরতে পারেননি তুষার ঝড়ের কারণে।