ব্যুরো রিপোর্ট: ৫৪৩ দিন পর করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজারের নিচে নামল দেশে। করোনামুক্তির সংখ্যাগত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের উপরে। ফলে সক্রিয়ের সংখ্যা ৫৩৬ দিনে সর্বনিম্ন হল।
সোম ও মঙ্গলবারের করোনা আপডেটে দৈনিক সংক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম হওয়ায় দেশে স্বস্তি ফিরেছে। এক লাফে করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা কমে ১ লক্ষ ১৩ হাজারে নেমে এসেছে।
করোনা মহামারী হানা দেওয়ার ২০ মাস পরেও করোনার রাশ আলগা হতে শুরু করেছে ভারতে।মঙ্গলবার দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ হাজার ৫৭৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের তুলনায় এই সংখ্যা দু-হাজার কম। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৮ হাজার ৪৮৮। এদিন প্রায় ১ হাজার কমেছে করোনা সংক্রমণ।
ভারতে মোট করোনা সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৮০।দেশে মৃতের সংখ্যাও এদিন গতদিনের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে।
গত সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ৫০০-র উপরে উঠে গিয়েছিল। এ সপ্তাহের প্রথম দুদিন সেই মৃত্যুমিছিল অবশ্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে ২৩৬ জনের।
সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ২৪৯। তবে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা নেমে গিয়েছিল ১৫০-রও নিচে। এখনও সেই জায়গায় করোনায় মৃতের পরিসংখ্যান নেমে আসেনি।
তবে ধীরে ধীরে যে নিয়ন্ত্রণে আসছে করোনা সংক্রমণ, তা স্পষ্ট। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪,৬৬,১৪৭ জনের।
করোনা সংক্রমণের হার দেশে অনেকটাই নিম্নমুখী হওয়ায় উদ্বেগ অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু কেরলের গ্রাফ আতঙ্ক বাড়িয়েছে সম্প্রতি। কেরলের সংক্রমণ এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায় উৎসবের মরশুমে। করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় কেরালায়।
সেই ধারা এখনও অব্যাহত। তবে দেশে সামগ্রিকভাবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে সংক্রমণ। উল্লেখ্য, দেশের সংক্রমণের অর্ধেকই কেরালার।গত দু-সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসের দৈনিক গ্রাফ সন্তোষজনক জায়গায় রয়েছে দেশে।
করোনা সংক্রমণ ১০-১১ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে। এদিন সেই সংখ্যাটা নেমে এল সাড়ে সাত হাজারে। দেশে ধারাবাহিকভাবে কমছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ১ লক্ষ ১৩ হাজারে নেমে এসেছে। বর্তমানে সক্রিয় রোগী ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৮৪। ৫৩৬ দিনের মধ্যে সবথেকে কম করোনা সক্রিয় দেশে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২,২০২ জন। দেশে মোট করোনামুক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৪৯।
৯৯ শতাংশের বেশি করোনা মুক্ত হয়েছে দেশে। ১ শতাংশেরও কম সক্রিয় এখন ভারতে। এই মুহূর্তে দেশের অর্ধেকের বেশি সংক্রমণ শুধু কেরালায়। এখনও সার্বিকভাবে মহারাষ্ট্র সবার উপরে। তারপরেই রয়েছে কেরালা।