ব্যুরো রিপোর্ট: আমেরিকায় তীব্র মুদ্রাস্ফীতি । বুধবার ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে । যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুদের হার বৃদ্ধিকেই বেছে নেওয়ার কথা জানিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। তবে এর প্রভাব যে সারা বিশ্ব জুড়েই পড়তে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফেডের নীতি-নির্ধারণকারী ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি বলেছে, তারা মুদ্রাস্ফীতি ২ শতাংশে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। পাশাপাশি মূল বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও আশাবাদী তারা।সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি অনুমোদন দিতে পারে বলে মনে হয়েছিল।
কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি ফেডকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। এর আগে শেষবার ১৯৯৪ সালে সেখানে সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছিল।ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বিশদে জানানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন।
সেখানেই আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতিনির্ধারকরা কতটা আক্রমণাত্মক, তার প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে।ত্রৈমাসিক পূর্বাভাস অনুসারে বছরে শেষ হওয়া ফেডারেল তহবিলের হার ৩.৪ শতাংশ। যা মার্চ মাসের ১.৯ শতাংশের থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় নীতি নির্ধারকরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
তারা আরও আশা করছেন ফেডের মুদ্রাস্ফীতির সূচক বছরের শেষ নাগাদ ৫.২ শতাংশের আশপাশে থাকবে। অন্যদিকে ২০২২ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার পূর্বাভাসের ২.৮ শতাংশ থেকে ১.৭ শতাংশে নেমে আসবে।এফওএমসি উল্লেখ করেছে ইউক্রেনে রাশিয়ার হানার প্রভাব ফেলেছে সেখানকার মুদ্রাস্ফীতির ওপরে।
পাশাপাশি তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চিনে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা লকডাউন সাপ্লাই চেনে আরও আঘাত হানতে পারে।আমেরিকায় পেট্রোলের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৫ ডলারে।
যা প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড করছে। মে মাসে সেখানকার ভোক্তা মৃল্য বৃদ্ধি ১২ বাসে সর্বোচ্চ ৮.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে পাইকারি মূল্যসূচকও। সবকিছুই হয়েছে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির কারণে।