ব্যুরো রিপোর্ট: প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর ব্যাক টু ব্যাক দু’টি ম্যাচ জয় পেয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচ উইকেটে হারানোর পর কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন দল পরাজিত করেছে গুজরাত টাইটান্সকে ৮ উইকেটে।
হায়দরাবাদের এই জয়ে শুধু ব্যাটিং বা বোলি-এই নিজেদের উচ্চস্তরে নিয়ে যায়নি হায়দরাবাদ, এ দিন বেশ কিছু দুর্দান্ত ফিল্ডিং-এর মুহূর্ত উপহার দিয়েছে নিজামের শহরের ফ্রাঞ্চাইজি দলটি। এই ম্যাচে গুজরাত টাইটানসের শুভমন গিলকে আউট করার পিছনে এমনই এক ফিল্ডিং এফোর্টের ভূমিকা ছিল।
ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বাম দিকে শরীরকে ছুঁড়ে শুভমন গিলের ক্যাচ ধরেন রাহুল ত্রিপাঠী। এক কথায় এই ক্যাচ ছিল অনবদ্য, বিশ্বমানের। এই ক্যাচ যেমন তৃপ্তি দেয় ফিল্ডিরকে তেমনই আরাম দেয় মাঠে বা মাঠের বাইরে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখা অগুনিত ক্রিকেটপ্রেমীকে।ভুবির লেন্থ বল কভারে মারেন গিল।
শটে দারুণ জোর ছিল, বাউন্ডারির দিকেই যে বল ধাবিত হবে তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ত্রিপাঠী বাজপাখির মতো বুলেটের গতিতে যাওয়া বলকে এক হাতে তালুবন্দি করবেন তা অনেকেই ভাবতে পারেননি।গত ম্যাচে শুভমন গিল পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন।
অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়, ময়াঙ্কা আগারওয়ালের দলের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন গিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ত্রিপাঠীর দুরন্ত ক্যাচের সুবাদে শুভমন গিলের ইনিংস শেষ হয় ৭ রানে। হার্দিক পাণ্ডিয়ার অপরাজিত ৫০ রানের সৌজন্যে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৬২ রান তোলে গুজরাত।
তবে, কাজে আসেনি হার্দিকের ইনিংস। কেন উইলিয়ামসনের অর্ধশতরান, অভিষেক শর্মার ৪২ রানের ইনিংসে সৌজন্যে জয়ের লক্ষ্যের দিকে অনেকটাই গিয়ে গিয়েছিল এসআরএইচ। বাকি থাকা কাজ পূরণ করেন নিকোলাস পুরান।
তিনি ১৮ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পরবর্তী ম্যাচ ১৫ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। গুজরাত টাইটানসের পরবর্তী ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল। এই ম্যাচে জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সানরাইজার্স রইল অষ্টম স্থানে। সম সংখ্যক ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গুজরাতের অবস্থান পঞ্চম স্থানে।