ব্যুরো রিপোর্ট: শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে বন্যায় বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। চলছে অবিরাম বর্ষন। দেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হিমাচল প্রদেশেই ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমেরিকা থেকে জাপান-স্পেন রাস্তাঘাট পুকুরে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।ভারতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এবারের বর্ষায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরের রাজ্যগুলি।
হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানায় শুধু জল আর জল। দিল্লির বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন। যমুনা নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। হিমাচল প্রদেশ এহং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় ধসের জেরে শত শত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে।গত দু-তিনদিনের বন্যায় তুরস্কের বহু অংশে প্লাবন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সেখানকার ১৬ টি প্রদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রাস্তায় জল জমেছে। বাড়ি-ঘর জলের নিচে। বিভিন্ন জায়গায় ধসের ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতে বন্যার কারণে রাস্তাঘাট জলের নিচে। হাডসন ভ্যালি থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটি থেকে প্রায় ৯৬ কিমি দূরে অরেঞ্জ কাউন্টির জন্য ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে ভারতের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশেও এই একই পরিস্থিতি । জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মৃত্যু ও নিখোঁজের খবর মিলেছে। সেখানেও নদীর প্লাবন এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সংবেদনশীল এলাকার বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।স্পেনের আরাগন অঞ্চলের রাজধানী জারাগোজায় কয়েক মিনিটের বৃষ্টির পর সেখানে আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
একাধিক প্রদেশে রাস্তা জলের তলায়, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে সেখানকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রেল ও ট্রাম নেটওয়ার্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ৫০ বছরে আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ।
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সাল থেকে ২০২১-এর মধ্যে আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনার কারণে ১১,৭৭৮ টি বিপর্যয় রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে ২০ লক্ষের বেশি মৃত্যু এবং ৪.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।